নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল নগরীর চাঁদামারী এলাকার এক ব্যবসায়ীকে মারধর করেছেন শ্রমিকলীগ নেতা হুমায়ুন কবির মোতালেব। স্থানীয় ‘নাহার মেডিকেল হল’র সত্ত্বাধিকারী মো. খালিদ হাসান জানান, শনিবার দুপুরের দিকে হুমায়ুন কবির মোতালেবসহ ৫ থেকে ৭ জন লোক তার প্রতিষ্ঠানের সামনে আসেন। এবং চাঁদমারী মসজিদে তারাবির নামাজের জন্য কিছু টাকা দাবি করেন। এসময় কত টাকা দিব, জানতেই চাইলে তারা বলে ইচ্ছেখুশি। তাদের কথা শুনে আমি ক্যাশ থেকে ২০ টাকা বের করে দেই। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে হুমায়ন কবির মোতালেবসহ তার লোকজন আমার শার্টের কলার ধরে দোকান থেকে টেনে বের করে। এবং এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে দেয়। বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ব্যাপ্টিশমিশন রোডের বাসিন্দা হুমায়ুন কবির মোতালেব বরিশাল জেলা শ্রমিকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বলে জানা গেছে। শহরের পশ্চিমাংশ জিয়া সড়কের বাসিন্দা ওই ব্যবসায়ী জানান, তাকে মারধর করার বিষয়টি স্থানীয় কাউন্সিলর, কোতয়ালি পুলিশ ও দোকান মালিককে অবহিত করা হয়। পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও জড়িত কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। দোকান মালিক চকবাজারের ব্যবসায়ী মানিকের বরাত দিয়ে ‘নাহার মেডিকেল হল’র সত্ত্বাধিকারী মো. খালিদ হাসান বলেন, পুলিশ আসার আগেই তিনি ভয়ে দোকান বন্ধ করে চলে যান। তবে এসময় ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এটিএম শহিদুল্লাহ পুলিশের সাথে কথা বলেন এবং বিষয়টি নিয়ে বাদ আসর বসার বিষয়টি অবহিত করলে পুলিশ চলে যায়। এই বিষয়ে কাউন্সিলর শহিদুল্লাহ বলেন, দোকানি মারধরের বিষয়টি শুনে আমি ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের উপস্থিতি দেখতে পাই। এসময় উভয়পক্ষকে নিয়ে বিকেলে বসার কথা জানালে পুলিশ চলে যায়। এই বিষয়ে কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের ওসি নুরুল ইসলাম জানান, ওষুধ ব্যবসায়ীকে মারধরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে একটি টিম পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় কাউন্সিলর বিষয়টি সামাজিকভাবে সুরাহা করার আশ্বাস দিয়েছেন। এই কারণে পুলিশ চলে এসেছে। এরপরেও যদি ব্যবসায়ী লিখিত অভিযোগ করেন, তাহলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই বিষয়ে জানতে শ্রমিকলীগ নেতা হুমায়ুন কবির মোতালেবের মুঠোফোনে একাধিকবার কলা হলেও তিনি সাড়া দেননি।’
Leave a Reply